যে সুবিচারের দাবি আজ আছড়ে পড়ছে বাংলার প্রতিটি রাস্তায়, প্রতিটি ঘরে, তা যেন ছুঁয়ে গেছে এক অদম্য প্রতিবাদের ভাষা। আমরা ভুলতে পারিনি একটু একটু করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া মেধাবী ডাক্তারি ছাত্রীর সেই ক্ষতবিক্ষত মুখখানা। বাংলা আজ সম্মিলিত অগ্নিপুঞ্জ। সমস্ত বর্ণ, জাতি, রং মিলেমিশে একাকার। সৌজন্যে শুধুমাত্র কিছু নরপিশাচের হাতে অকালে ঝরে যাওয়া একটি ফুলের মত প্রাণ। আমরা আমাদের নূন্যতম সামাজিক নিরাপত্তাটুকু দিয়ে বাঁচাতে পারিনি আমাদের মেয়েকে। পরিবর্তে এই শিল্প-সংস্কৃতির নন্দনকানন তিলোত্তমা কলকাতায় কেড়ে নিয়েছি তার বহুমূল্য প্রাণটুকুই। তাই আজ নিজেরা নিজেদের ক্ষমা করতে বড় কষ্ট। যে শব্দ আজ ধ্বনিত হচ্ছে প্রতিটি রাস্তায়, যে সুবিচারের স্লোগান আজ আছড়ে পড়ছে জেলায় জেলায়, তার তীব্রতা পরিমাপযোগ্য নয়। মনুষ্যত্বের শেষ বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আজ আমাদের পরীক্ষা দেওয়ার দিন। আসুন সকলে মিলে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সংকল্প গ্রহণ করি। শাসকের দরজায় আজ সকলে কড়া নাড়ি শুধুমাত্র সুবিচারের দাবিতে। এ আমাদের নাগরিক দায়বদ্ধতা এবং সেই ঝরে যাওয়া প্রাণের প্রতি নিজেদের লজ্জা প্রকাশ করবার তাগিদ। আমরা কবিতার আলোর পক্ষ থেকে এই মাসের ব্লগজিন সংখ্যার বিষয় হিসেবে বেছে নিলাম সেই প্রতিবাদের আওয়াজটুকুই। বাকি সব না হয় পরে হবে। জানিনা এই আওয়াজ গগণভেদী কিনা। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, আজ সর্বস্তরের এই সম্মিলিত প্রতিবাদ ভয় ধরাবে দুর্বৃত্তায়নের আঁতুড়ঘরে৷ আসুন, আমরা আরও জোটবদ্ধ হই৷ ছড়িয়ে দিন আপনার প্রতিরোধের ফুলকিটুকুই৷ বাকি দাবানল তো কেবল সময়ের অপেক্ষা৷
আমাদের প্রতিবাদটাই হোক আপনার প্রতিবাদ৷ আমাদের ঝলসে ওঠা অক্ষর হোক আপনার শ্লোগানের ভাষা৷ এই সংখ্যাটি শেয়ার করে আপনিও সামিল হন আমাদের সাথে।
আসুন৷ সকলে এই সংখ্যার সমস্ত লেখা নিজেদের প্রতিবাদের স্বর হিসাবে গ্রহণ করি ও সমবেত কণ্ঠে বলি, "We want Justice"...
কৌশিক চক্রবর্ত্তী
সম্পাদক, কবিতার আলো