নাসিকা গর্জন
ঘর ৎ ঘ ঘরোত ঘৎ.. ঘ…… ঘর ৎ ঘ ঘরোত ঘৎঘ !!
উরিবাবা রে বাবা ! কি নাক ডাকা রে বাবা ! তড়বড় করে দুটি ঠ্যাং ছিটকে উঠে বসলুম - একটু ঘুমাবার জো নেই !!
সবে রাতের ঘুমটা লেগেছিলো - দিল ব্যাটা ভাঙিয়ে। যেন ডবল ইঞ্জিনের- ডবল ডেকার বাস চলছে।
আর দাদা বলবেন নি ! গিয়েছিলুম একটু অফিসের কাজে এক কলিগের সাথে - রাতে ব্যাটা যা ব্যাটিং করলো পুরো রাতটা কাবার করে দিল মাইরি !
সকালে মহাশয়কে বললাম রাতের অভিজ্ঞতা -উনি তো ব্যাপারটা গায়েই নিলে না। মহাশয় বোধহয় তক্কে তক্কে ছিল - পরেরদিন রাতে ঘুমাবার ভাণ করে পড়ে ছিল - যেই আমি ঘুমিয়েছি ব্যাটা পুরো দশ মিনিটের ভিডিও করে ছড়িয়ে দিলো মাইরি !!
সকালে আমার ঘুম ভাঙলো একটা মেসেজ নোটিফিকেশনে - দেখলুম আমার নাসিকা গর্জনের ভিডিওটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে তারই একটি নোটিফিকেশন এসেছে - আমার নাসিকা গর্জনের তরঙ্গিত প্রবাহের ঢেউয়ে আমার আল্হাদের নধর ভুঁড়িটা উঠছে আর নামছে, কি তার নাচন !! নিজেই নিজেকে দেখে লজ্জা পেলুম -তারপর থেকে আমি এক্কেবারে স্পিকটি নট এই ব্যপারে যতই প্রলয় হয়ে যাক না কেন আমি আর কাউকে নাসিকা গর্জন নিয়ে চুলকাব না !! নো নেভার !!
আমার নাসিকা গর্জন নিয়ে আমার বন্ধুমহলে ও পরিবারে বেশ সুনাম আছে। একবার তো শীতের মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে দেখি আমার অর্ধাঙ্গিনী বিছানায় নেই---- হাওয়া - গেল কোথায় রে বাবা !! দরজা বন্ধ গেল কোথায় ?
দেখি ম্যাডাম কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে খাটের তলায়- কি কান্ড বলুন তো ??
অনেক চেষ্টা করেছি আমার এই সুঅভ্যাসটাকে যদি চেঞ্জ করা যায় একবার তো চুলের ক্লিপ নাকে ঠেসে লাগিয়েছিলুম মানে ট্রাই করেছিলুম আর কি ! নিঃস্বাসটাই বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল - এক্কেবারে যাই যাই অবস্থা।
নাকের মধ্যে বেশ কয়েকবার লিকুইড মেডিসিন চালান করে দিয়েছি কিন্তু তা গলে গিয়ে গলা দিয়ে পাকস্থলীতে পৌঁছে আমার হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলেছে কাজ কিছু হয়নি - ভেবেছি এবার অম্বল হলে ডাইজিনের বদলে এটাই সবাইকে প্রেসক্রাইভ করব –
যাইহোক দাদা এই গরমে এইভাবেই চলে যাচ্ছে !!
এখন এই রোগ নিরাময় করতে না পেরে আমি আমার নাসিকা গর্জন নিয়ে বেশ অহংকার বোধ করি। কোথাও এই রকম কোনো - মানে এই - নাসিকা গর্জনের -প্রতিযোগিতার কথা জানা থাকলে, জানাবেন প্লিজ।।
একবার ট্রাই করবো -- মনে থাকবে তো ??