মিউজিয়াম
শ্যামল জানা
শেষ যে চিৎকারটি নাবালিকার মুখ থেকে বেরিয়েছিল,
সেটি নোংরা জলকাদা মেখে একাকী পড়েছিল
একটি নির্জন জলাশয়ের ধারে!
আমি তাকে কুড়িয়ে বাড়ি নিয়ে আসি;
কেচে, ইস্ত্রি করে, ভালো করে বাঁধিয়ে,
আমার ড্রইংরুমে টাঙিয়ে রাখি সেই চিৎকার...
তারপর থেকে প্রত্যেক দিন, আমার পূর্ব-পুরুষেরা নয়,
আমার পূর্ব-নারীরা একজন একজন করে,
আলাদা আলাদা ভাবে
আমার ড্রইংরুমে আসতে শুরু করেন!
আর, প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা করে
একইভাবে জিজ্ঞেস করেন—
এ চিৎকার তুমি কোথায় পেয়েছো?
এ তো আমার চিৎকার...