হেমন্তের রূপকথা
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
এবারও হেমন্ত হঠাৎ চলে গেল।আলতো ছোঁয়া যে পাইনি
এমন নয়,খানিক হাওয়া শিমুলের লাল,কিছুটা পলাশ আঁকড়
ঘেঁটু বা বুনোফুল দু-একটা ছোবল মারেনি এমনও নয়
তবু একটাও দীর্ঘ স্মৃতিকথা লিখিনি।
কোনো চাষি বা মজুরের ঘামে আগুনফুল আঁকিনি
প্রহরের পাখিডাক বা গোধূলির ছবিও লিখিনি।
হেমন্ত হারিয়ে গেল।হেমন্ত মানে সেই অনাথ ছেলেটির সঙ্গে
বাসন্তীর দেখা হয়েছিল,আলাপ ও প্রলাপে স্কুল আর
কোচিং ক্লাসের ঘণ্টায় কোনো রামধনু কেউ তো দেখেনি
স্কুল সেরে বাসন্তীর পতিগৃহে যাত্রার পরপরই হেমন্ত উধাও !
শান্ত পুকুরের মতো গাঁয়ে ঢেউ উঠেছিল, স্বচ্ছজল,কাদা নয়,
ছেলেটা সবার প্রিয়,বড়ো ভালো, মেয়েটিও।
তবু হেমন্ত হারিয়ে গেল,হেমন্তেরা এভাবেই হারিয়ে যায়।
তার মায়ের চুলে পাক ধরেছে,ছোটো হয়েছে দীর্ঘশ্বাস
বিকেলের কাজ সেরে দরজা খুলে বসে সে ভাবনায় ডুবে থাকে
দিনের আলো কমে এলে রাতের আলো জ্বলে,
তার চোখের চিকচিক স্বপ্ন আরও উজ্জ্বল হয়।
তাতে অলৌকিক অক্ষরে লেখা হারানো মানিক লাভের
অনবদ্য রূপকথা।
হেমন্ত রা এভাবেই হারিয়ে যায়
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনধন্যবাদ
মুছুনঅপূর্ব, অসাধারন লেখা।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুন