কবিতা এবং বিক্রয়জাত ঝিনুক
(১)
ভ্রমরের পাশে যদি এসে বসে লাল কাঁকড়া
বৃষ্টি আর একটি স্বস্তিকচিহ্ন যদি ধুয়ে যায় একসাথে
তুমি কি কাঁদবে ?
অবশ্য, কান্নার চেয়েও দরকারী সঠিক পেইনকিলার
সলিউশনে ডুব দেবার ঠিক আগমুহূর্তে -
সমস্ত অধর্মকে জড়িয়ে অজস্র চুমু খেয়েছ সাবলীল...
(২)
সাবলীল সহজ ?
অতশত বুঝি না বলে চুপ থাকি।
ভাঙচুরের থেকে নি:শব্দ ভালো।
তার চেয়েও ভালো নিস্তার
ভাগ্যবানের হাতের তালু কিংবা চাঁদের চিহ্ন -
জনসমক্ষে এলে অধার্মিক
অপবাদ নেই।
বাদ দিতে শিখলে আসামীও ঈশ্বর...
(৩)
এযাবৎ কালের সঞ্চিত সর্বমোট পোখরাজ থেকে যদি খসে পড়ে ঘুঙুরঘর তাহলে ঠাঁই হয় নিজস্ব নদীতে। গাছের নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একসময় মানুষও যে গাছ হয়ে যেতে পারে সেই ধারণাটুকু জনসমক্ষে বিলিয়ে দিয়ে কি আদতেও জন্ম দেয়া যায় প্রসবঘরের দেওয়াল ? পাঁচিলের গায়ে এই যে স্যাঁতস্যাঁতে ভোর আর মৎস্য সংগ্রহকারীর হাতের ছাপ, এরা সত্যিই কি মাছ বিক্রির পর নৌকায় করে ভাসিয়ে দেন বর্জ্য আঁশ ?
উঠে এসো। গুটিবসন্ত গায়ে নাও।
(৪)
... অযুত প্রশ্ন ।
লজ্জাবস্ত্রের উদযাপন ।
রুদ্ররূপ তোমার। তুমি সর্বকালজ্ঞ
জটাতে ভরেছ সুপ্তিস্তব
কপাল জুড়ে অঙ্কতিল
ভিতরে অহরহ দৌড়ে বেড়ায় যে চঞ্চল হরিণটি
সে-ই কি সমগ্র?
গাঢ় হচ্ছে ত্রাণ
নাছোড় মায়া
অনাদি অসুখ
সমুদ্র প্রয়োজন। হাত পাতো।
(৫)
গায়ের বালি ঝাড়ার মুহূর্ত। যে বাড়তি ফেনাটুকু বা অতিরিক্ত স্নানজল, বীমা অনুযায়ী এসব দুরারোগ্য ব্যাধি। অভিশপ্ত ঘুম। কাকের পায়ে লেগে থাকা পাপ। কিছুটা দাগীক্ষয় কিছুটা ভষ্ম। চিনলে সঞ্চয় না চিনলে শকুন। সূর্য অস্ত গেল। নিশ্চিন্ত খর্গ। ঘোর গার্হস্থ্য। সংসারী বক।
প্রকাশ্যে সবাই নাবিক। আর নাবিকের থেকে এক ইঞ্চির দূরত্বে প্রত্যেকেই অযোনিসম্ভবা...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন