বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

Kobitar Alo November Sankhya 2024

  

Kobitar Alo November Sankhya 2024

প্রচ্ছদ ঋণ - অদিতি সেনগুপ্ত


সূচীপত্র
-----------------------



প্রচ্ছদ
------------------
অদিতি সেনগুপ্ত


সম্পাদকীয় কলাম
---------------------
কৌশিক চক্রবর্ত্তী


কবিতা ভিত্তিক
------------------
আলোক মণ্ডল
রহিত ঘোষাল
রাজরুল ইসলাম
উৎপলেন্দু দাস
অঞ্জনা মজুমদার
অনীশ দাস
সুজাতা দে


সম্মিলন
------------------
তৈমুর খান
রবীন বসু
সায়ন তরফদার
শিশির আজম


ছোট গল্প
------------------
মাখনলাল প্রধান
মেনকা সামন্ত


কথাচিত্র
---------------------
সুমিতা চৌধুরী


অরাজনৈতিক ভ্রম
------------------------------------
চিরঞ্জীব হালদার



সম্পাদকীয় কলাম
-----------------------


পৃথিবীর সমস্ত বিপন্নতাকে একত্রিত করে আমরা চেষ্টা করি উদ্দেশ্যকে খুঁজে বার করতে। এই উদ্দেশ্যের পথে ছুটে চলা যেন অনাবিল এক সমুদ্রপথে চেনা গণ্ডির বাইরে নিজেকে ইচ্ছাকৃত হারিয়ে ফেলার তাগিদ। হারিয়ে ফেলতে গিয়ে আমরা নিজেদের দিকে তাকাতেই ভুলে যাই। আর সেখান থেকেই জন্ম হয় আত্মপ্রত্যয়ের অভাব। আমরা বলতে পারি পৃথিবী আজ বিপন্ন। তাই তো তিলোত্তমার মত ফুলের কুঁড়িকে অকালে হারিয়ে যেতে হয় শহরের রাজপথ থেকে। আমরা নিজেদের ক্ষমা করতে পারি কী? আসলে এই পৃথিবীর বুকে সমস্ত দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা সরে যেতে পছন্দ করি। 'মানবতার জয় হোক' স্লোগানে যখন মুখরিত হয় রাজপথ, তখন প্রদীপের তলায় খুন হয়ে যায় তরতাজা প্রাণগুলো। এ যেন আলোর সঙ্গে অন্ধকারের লড়াই। আর সেই চিরাচরিত লড়াইতে আমরা নিতান্ত দাবার ঘুঁটি ছাড়া আর কিছুই নয়।  বরং আসুন, আমরা উদ্দেশ্যের পথে হাঁটি। বিধেয়কে পর্যালোচনা করে অন্ধকারকে কাটিয়ে আলোর পথকে সুগম করি। তখনই নির্মীয়মান পৃথিবীর চারপাশ সবুজে ভরিয়ে তুলতে পারব। আমরা বদ্ধপরিকর। 

আবার আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি মতো নিয়ে এলাম কবিতার আলোর আরও একটি ওয়েব সংখ্যা। আমরা সকলে কবিতার আলো। আলোকে উদ্দেশ্য করে আমরা অন্ধকারের বিপরীতে হেঁটে যাই অনবরত। এবারের ওয়েব ম্যাগ ইস্যুটি সেই পথেই পরিচালিত হয়েছে আগাগোড়া। কারন আমাদের সমাজে আলোর বড় প্রয়োজন। যখন অন্ধকার ধীরে ধীরে গলা টিপতে আসে মানবতার, তখন আমাদের জোটবদ্ধ হতে হয়। আসুন কবিতা এবং সাহিত্যকে উদ্দেশ্য করে আমরা মঞ্চ গড়ে তুলি। আর সেই মঞ্চে যেন সকলে গড়তে পারি সুদৃঢ মানববন্ধন। স্তব্ধ গতিপথকে সচল গতিধারায় রূপান্তরিত করতে আমাদের মত সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। একত্রে গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে বিচার চাইতে হবে তিলোত্তমার, সামাজিক উপায়ে। নির্জন প্রতিটি কোণ যখন একা হয়ে পড়ে, তখন সেখানে ছড়িয়ে দিতে হবে রোদের কিরণ। আমরা পারব না? আপনারা সঙ্গে থাকলে আমরা ঠিক এগিয়ে যাব। 

প্রতিমাসে এই অঙ্গীকারকে বুকে নিয়ে আমরা একটি একটি করে সিঁড়িতে পা ফেলবো সন্তর্পনে। আর ধীরে ধীরে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে হাতে হাত মেলাবো ভবিষ্যতের চূড়ায় দাঁড়িয়ে। সচল হোক রাজপথ। কেটে যাক সমস্ত অচল ক্লেদ। আপনারাও যতটা পারবেন শেয়ার করুন আমাদের চিন্তা ভাবনাগুলিকে। প্রত্যেকটি কবিতা হোক মানবতার এক একটি প্রকৃষ্ট নদীপথ। আর সেই নদীতে উজান আসুক নিয়ম করে। আসুন হাত ধরি। এগিয়ে যাই সামনের দিকে। পড়ে থাক সমস্ত অজানা ধুলোপথ। সামনে খোলা আছে অনন্ত ধানমাঠ। 

মানবতার জয় হোক। সমাজ হোক শিল্পীদের।


কৌশিক চক্রবর্ত্তী
সম্পাদক
কবিতার আলো



কবিতাভিত্তিক
---------------------




প্রভাতকুসুম

আলোক মণ্ডল

তোমার আমার মধ্যে ছিল তীব্র পতাকা।বাতাস নাড়া দিত আর উড়ত পতপত।হাওয়া- মোরগের নির্দেশিত পথেও কখন বা। সতত উর্দ্ধপদহেঁটমুণ্ড বে-পরোয়া। রেড লেটার ডে- তে জ্যোৎস্নার প্রবল দাপট, চৌকাঠ পেরোনো আলোর এক ধাক্কায় ছিঁড়ে জেরবার। তুমি তখন তরল প্রবাহ হয়ে ডান দিকে, আমি বিপরীতে। তারপর ঘূর্ণাবর্ত। চন্দ্রবিন্দু বিসর্গ প-বর্গের সমস্ত বর্ণ ঘেটে ঘ। অন্ধকার সরিয়ে ক্ষীণ গুহামুখ, সূচিভেদ্য রশ্মিতে দুই স্রোত একাকার। পরাবর্তে এহোবাহ্য, আগে কহ, প্রভাতকুসুম

------------------ 

ইমারত

রহিত ঘোষাল

শুধু ছিমছাম বেঁচে থাকার মধ্যে যে জাদু কাজ করে,
যে অশ্রু জন্ম দিতে পারে সূর্যের মতো বলয়,
আর তার সারাটা বছর জুড়ে যে পরিক্রমা,
তাকে দেখে নির্ভেজাল অবাক হওয়া ছাড়া
আমাদের হাতে পড়ে থাকে শুধু কাদাজল,
ফুরিয়ে আসতে থাকে এক একটা দিন,
সমস্ত জীবন জুড়ে এক একটা দিন,
আমাদের ঘরে তৈরি হয় অন্য কারুর অধিকার,
আমরা পিপাসা নিয়ে চাল-ডালের সামনে দাঁড়াই,
স্বভাব কিছুটা পড়ে থাকে বিছানার উপরে
আলো যত অল্প হয় ততই তো ভালো,
গণ্ডির ভেতরে যে আরাম
তাকে আর তুচ্ছ করতে ইচ্ছে করে না,
তুমি এলে তোমাকে কী নামে ডাকবো
ঠিক করতে করতে পায়চারি করি,
আর তখনই একটি দমকা হাওয়া 
দরজা ভেঙে ঢুকে পড়তে চায়,
তাকে আমি বহু পুরাতন এক ক্ষত বলে চিহ্নিত করি,
সাধু গম্ভীর গলায় গান-দোতারা বাজিয়ে চলেন,
ক্যালেন্ডার থেকে তোমার জন্মদিন
আমাকে তিরস্কার ছুঁড়ে দেয়,
আমি সারা ঘরে নাচতে শুরু করি
তোমার আত্মার সাথে,
আর একটার পর একটা হতাশা ইমারত ভেঙে পড়ে।

------------------ 

পশ্চিমী বজ্রের সঙ্গে

রাজরুল ইসলাম

আমি কুড়িয়ে নিই সেই বজ্র 
বিরাট অন্তরিক্ষ থেকে 

আর আমি উড়ে যাতে চাই 
তোমার সীমিত পরিধান থেকে যা আড়াল করে রেখেছিল রাস্তার ঠেলা গাড়িগুলিকে 
আর হাওয়ায় ভর্তি ফাঁপাগুঁড়ির অন্তরঙ্গ। 

তোমার কটাক্ষদের অনেক দাবি-দাওয়া 
যে দিকে তাকাই 
সূর্য রশ্মিগুলি ফিকে ভাবে হেসে উঠে 
আর আমাকে ধ্বংস হওয়ার অনুমতি দেও। 

আমাকে উড়ে যাওয়ার আবেদন লিখে দাও 
খুঁটিহীন খাঁচা থেকে 

আমি যেন উড়ে যাওয়া অনুমতি পাই
পশ্চিমী বজ্রের সঙ্গে।

------------------ 

তিলোত্তমা কী একা হয়ে গেল?

উৎপলেন্দু দাস

তিলোত্তমার একা হওয়ার আর সুযোগ রইল না
কাঠকুটোর বাসা ছেড়ে দিয়ে তীব্র অনিচ্ছায়
ঝড়ের বাতাস হয়ে ছড়িয়ে পড়ল ধরণীর বুকে
গাছেরা দুলল পাতারা বলল তীব্র আন্দোলনে
শিখর ছেড়ে পাথর নেমে এল সগর্জনে
সমুদ্রের ঢেউ উত্তাল হল আকাশ ছুঁয়ে
মেঘের দল জমা হল দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে;
অসংখ্য কলম সচল হল
অসংখ্য তুলি আঁকল রক্তাক্ত ছবি
কন্ঠে কন্ঠে বেজে উঠল প্রতিবাদের গান;
ভয় নেই তোমার
তুমি আর একা নও তিলোত্তমা এখন
আমরা তোমাকে ভুলব না কখনো 
বিসর্জনে যেতে দেব না একাকী নির্জনে।

------------------ 

ইচ্ছে

অঞ্জনা মজুমদার


ইচ্ছেরা থাকে মনের গভীরে 
           টুংটাং ধ্বনি তোলে শিরে

পাতায় পাতায় সুর তালে লয়ে 
            বেরিয়ে আসে কথা হয়ে। 

কখনো মনের কথা মালা হয়ে 
            ইচ্ছেরা ভালবাসা হয়ে 

গানের কথায় সুরে তালে লয়ে 
           গোপন ইচ্ছে ডানা মেলে।

------------------ 

অপ্রাপ্তি

অনীশ দাস

জীবনের পথে চলতে গিয়ে বারে বারে 
অজুহাতের আঙুল ধরে মুখ ফিরিয়েছি
হাজারো অজানা রহস্য থেকে,
হারিয়েছি সংসর্গ, স্পর্শ, স্নেহ;
কেঁদেছি তবু সঙ্গ ফিরে পাইনি,
যত্নের পরেও অবজ্ঞার পাহাড়ে ডুবে রয়েছি। 
মায়ার স্পর্শ থেকে থেকেছি বঞ্চিত। 
পিতার আলিঙ্গন পেয়ে যেদিন বুক ভরে উঠেছিল,
সেই মুহূর্তে তার শেষ শ্বাসের  শব্দে সবটা থমকে গেছিল!
প্রতিভাত হয়েছিল বৃথা এই সমাজ, সংসার!
পরিবার বর্গের সহিত হাস্যালাপ করতে গিয়ে,
দেখি সময় ফুরিয়ে আসছে ক্রমশ তাদেরও আমারও;
নীরবেই কিছুকাল কাটিয়েছিলাম তবু;
মায়ের গন্ধ পেয়েছিলাম যবে, সেদিন 
আঁধারের নীরবতায় অবলীলায় হত্যা দেখলাম তার স্বচক্ষে,
কি দুর্বিষহ সে দৃশ্য! 
ধীরে ধীরে সময়ের আঙুলে
নেচে নেচে কালযাপন করলাম।
ক্রমে সময় ফুরিয়ে এলো।
আজ শেষকালে দাঁড়িয়ে না পাওয়ার দিকে চেয়ে 
কালচক্রকে অবলোকন করি, 
প্রাপ্তির নির্যাস মাখি নিজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।

------------------ 

আঁচড়

সুজাতা দে

ভালোবাসি চাই না বাসি, সমঝোতা উভয়ত।
পতি-পত্নী একসাথে  হাসিমুখে সেল্ফি পোস্টাই।
দাম্পত্য সম্পর্কের সুতোয় যেন টান না পড়ে।
সুখী-সুখী দাম্পত্য পালনের সামাজিক বার্তা ঘোষনায়
কোনো অর্থ খুঁজে পাইনা; তবুও দায়িত্ব পালন। 
জেনো,পালনেরও অনেক প্রকারভেদ আছে।

অঘোষিত কথাঘরেও কিছু কথা জমা থাকে।
কবে-কখন-কিভাবে এক মুহুর্তে,একদিন....
হারিয়ে-ফেরার পনের বছর পরে খুঁজে পেলেও
সেই আদান প্রদানকে আজ প্রেমকথা বলা যায় বুঝি!
যদিও পরস্পরের চোখের দৃষ্টিতে আজও আমরা নতুন।

ঈশ্বরিক প্রেমকে ছুঁয়ে বাঁচবার আপ্রাণ চেষ্টায়
একটু আধটু কবিতা লিখি। 
 গদ্যজন্মে কাটাছেঁড়া-র উদ্ভ্রান্ত যাপন দেখে
তবুও কেন; করে বারে বারে শুধুই-
কবিতা লেখার অনুরোধ করো?

এই-কি তবে নীরব নি:সারিত প্রেমকথার যাপন! 
তবে এসো কবিতাজন্মে,খোলো প্রতিভার প্রেমকলম- 
জীবন ক্যানভাসে আরেকবার দুজনে নতুন আঁচড় তুলি।



সম্মিলন
------------------



তৈমুর খান


(১)

আশ্চর্য ঘাতক



আজ শুধু অসহ্যের সঙ্গে সহবাস
 দিনান্তের দিকে যেতে যেতে
 হারিয়ে গেল আমাদের তরুণ অভিলাষ

 খণ্ড খণ্ড মাধুকরী জ্ঞান শস্যকণা
 যা কিছু সম্বল ছিল খরচ করেছি
 আজ শুধু তেতো মুখ,অমৃত ভাষণের কিছুই রোচে না

 বিশ্বাসের বাতায়নে নেমেছে অন্ধ আবেগ
 আজ আর ছুঁতে ইচ্ছে করে না তাকে
 অন্তর্দাহ নিরন্তর দিয়ে যাচ্ছে সেঁক

 সান্ত্বনাদের বিয়ে হয়ে গেছে বলে এ শহর ফাঁকা
 অশান্তির কারবারিরা ব্যবসা পেতেছে
 মৃত আকাঙ্ক্ষাদের শুধু মনে মনে ডাকা

 প্রাচীন তরবারি ব্যবহৃত হতে হতে আজ পলাতক
 কেবল ইন্দ্রিয়গত তার কার্যক্রমের সীমানা
 মনুষ্যেতর এই সহবাসে সেও দেখি আশ্চর্য ঘাতক!

(২)

নরকের দেশ



কোথাও রাস্তা নেই বলে
হৃদয় কেবলই কথা বলে
বেঁচে আছি তবে
আমাদের এই বাঁচার উৎসবে?

দলে দলে ভাবনারা আসে
কেউ কেউ কাঁদায় এসে
কেউ কেউ আশ্রয় খোঁজে
আমি যে ক্ষণিক মাত্র কে তা বোঝে?

সবাই বিপ্লব আনতে চায়
কী করবে এখানে বিপ্লব এসে?
বহু রক্তপাতে রাস্তা পিছল হলে
ঝাঁক ঝাঁক শকুন নামবে ধ্বংসের বিকেলে
আজ কলমটি রেখে যাব অনন্তের কাছে
না-বলা কথারা শুধু যাক কান্নায় ভিজে
রাষ্ট্রীয় বিষাদে মানবধর্মেরা যাক ভেসে
দীর্ঘশ্বাসে কেঁপে কেঁপে উঠি নরকের দেশে

------------------ 

রবীন বসু

স্মৃতিচিহ্ন


(১)
দেখেছি জলের চিহ্ন অমলিন আছে 
এদেশ ওদেশ নয়, চেনাজানা তীরে
আমাদের স্মৃতিচিহ্ন খেলা মাঠ ঘাট 
অবিকৃত তারা আছে বুকের গভীরে!

(২)
বটফল হাতে নিয়ে ছুটেছি দুপুরে 
কোথা থেকে ছুটে এলি দিনকানা তুই
ভেঙে গেল ফেটে গেল লাল বটফল
মুঠোতে দেখেছি তোর ধরা সাদা জুঁই!

(৩)
স্মৃতি অ্যালবাম খোলে চিহ্নচূর্ণ দিন 
কোথাও বিষাদ ঝোলে বিষণ্ণ আতর 
মরে যাওয়া রাতের রূপকথা ছবি 
দলিলে লিখেছে তাই সমস্ত স্থাবর!

(৪)
দানপত্র লিখে রাখে কার্তিকের কাক 
তীর্থস্থানে যেতে গিয়ে হারিয়েছি পথ
কোন্ মুখে চাঁদ দেখি, ছেড়ে যাব কাকে?
আমিও ভুলেছি যেন নিতান্ত শপথ!

(৫)
কত দূর থেকে ডাক আসে প্রতিদিন 
ঘুমের গভীর থেকে স্বপ্ন জাগে কই?
কুয়াশা মাঠের আলে কথা কেটে যায় 
তমোঘ্ন আশার আলো জ্বলে ওঠে ওই!

(৬)
গ্রামদেশ নিস্তরঙ্গ হিম জমে ঘাসে 
আকাশ প্রদীপ জ্বলে স্থির তারা যেন 
অলৌকিক মায়া নামে পৃথিবী অস্থির 
সংকীর্তন মাঝপথে থেমে যায় কেন?

(৭)
বাসা ছেড়ে পাখি উড়ে গেল শূন্য মনে 
শূন্যতায় পাক খেয়ে পাক খেয়ে ঘোরে 
আকাশের নীলে নীলে খুঁটে নেয় মোহ 
বিচ্ছেদ বিরহে শুধু আর্তনাদ জোড়ে।

(৮)
নদী শান্ত জল শান্ত অশান্ত হৃদয় 
উপশম কোথায় যে ভাবনার রেশ
কষ্টচিত্র এঁকে রাখে প্রাত্যহিক দিন
স্মৃতির কোটরে শুধু উন্মুখ প্রবেশ।

(৯)
তির্যক রোদের দিকে হেঁটে গেল কেউ 
আতান্তর শেষ হলে উৎসাহ দ্বিগুণ 
খুশি খুশি ভাব নিয়ে বিকেল দাঁড়িয়ে 
তবু আজ মরারোদে কারা হল খুন?

(১০)
তোমার সংসার আলো, আমি অন্ধকারে 
যত্ন দিয়ে সেবা করো— অযত্নে নিঃশেষ 
আমার হাড়ের ঘণ্টা বাজে দিকে দিকে 
তোমার মঙ্গল-শঙ্খ বেজেছে বিশেষ!

------------------ 

সায়ন তরফদার

১) রবিবাসরীয়


দুপুরের রোদ থেকে নেমে আসে
          কিছুটা একাকিত্ব, কিছুটা বিষাদ
শহর জুড়ে মিছিল, বিক্ষোভের মাঝেও
            আমি ভালোবাসতে চেয়েছিলাম
অন্ধকার পাহাড়ি রাস্তায় হোঁচট খেয়ে
                দেখতে পাই প্রেমিকার ক্লান্ত মুখ।
"আমার তোমায় ছাড়া শূন্য লাগে, বর্ষা।"
      – ব'লে ফেলি নির্দ্বিধায়
                          তোমার দিকে নির্বাক শব্দে।
চীনা রেস্তোরাঁর লাল আলোর মধ্যে
          মিশে যায় একাকী রবিবাসরীয় দুপুর।

তুমি নিঃশব্দে আমার পাশে এসে বসলে
               সামনের বারান্দায় দুপুরের রোদ এসে পড়ে।

২) নীল চোখে তাকালে


বুক পাতা থাক রেললাইনের মতন
         ভালোবাসা এলে মাথা দিয়ে দেব
পিষে দিয়ে চলে যাক ভালোবাসার চাকা।

নীল চোখে তাকিয়ে থাকো
               সীমাহীন নক্ষত্রের দিকে

কী দ্যাখো এত আকাশের দিকে তাকিয়ে? 
এখন তো আকাশ অন্ধকার। তারারাও ক্লান্তিতে
ঝিমিয়ে পড়েছে দূরের ওই উঁচু বাড়িটার ওপারে।
         তবে কী দ্যাখো এত? কী? কী? 

কী দ্যাখো তুমি, বর্ষা?
       তোমার নীল চোখে তুমি আকাশের দিকে
তাকালে, আমার আকাশ হতে ইচ্ছা করে।
তারাহীন এক বিশাল অন্ধকার আকাশ।

তুমি বুক পেতে শুয়ে থাকলে
            নীল চোখে আকাশ দেখা যায়।

------------------ 

শিশির আজম

বুড়ো হয়ে যাবার মজা


বুড়ো হয়ে যাবার কিন্তু একটা মজা আছে
মানে লোকে শ্রদ্ধাট্রদ্ধা করে আর গুরুত্বপূর্ণ এমন কি সাধারণ বিষয়েও
মতামত জানতে চায়
ঠিক একটা চেয়ার জুটে যায় সন্ধ্যার ব্যাস্ত ক্যাফেতে
কচি টসটসে মেয়েগুলো চুমু খায়
ঘোরে ফেরে
হাসাহাসি করে
আর আমাকেই চুমু খায়
আর আমার কবিতার প্রশংসা করে
মানে আমার মতো এক বুড়ো ভাম যে-কবিতাই লিখুক
যত বাজে কবিতাই  লিখুক
তার গুণকীর্তন ওরা করবে

স্পুটনিক সুইটহার্ট


আমার স্পুটনিক সুইটহার্ট আমি খুঁইজা পাইতেছি না
অবশ্য
আমার সম্মতি নিয়াই  ও হারায়ে গেছে
আর ওর যে হারায়ে যাওয়া দরকার
এইটা তো আমি জানি
একমাত্র আমিই জানি
মানে ওর নাই হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে
না অদ্ভুত না বিস্ময়কর
না কি বহুবীজপত্রী উদ্ভিদের পরিবারে ও খুঁজতেছে আমারে
আমারেই
নভচারীদের দ্রাঘিমাচ্যূত টুথপেষ্টে
কার্পাশবনের আগুনলাগা বিমানে

যেরকম একজন কবি


একজন কবি
একই সঙ্গে বোকা এবং উম্মাদ।

বিশাল নামহীন এক আকাশের মালিক সে
সে বলে,
এবং ওটা সে বিক্রি করবে না
সে জানায়,
কোন কিছুর বিনিময়ে।

হ্যা
আকাশ তো বিক্রি করা যায় না।

বুড়ো থুথ্থুড়ে একটা বাস


বাসের ভেতর বাদুড়ঝোলা হয়ে প্রায় তেইশ কিলোমিটার পেরোলাম
সামনে আর সাতান্ন কিলো
আর বাসটার মতিগতিও ভাল ঠেকছিল না
কেন না ও বেটা বুড়ো হয়েছে ছোটখাট অসুখবিসুখও আছে হয় তো
এখন তো ওর বিশ্রাম দরকার
ও টাল খাচ্ছিল বারবার টাল খাচ্ছিল
কখন যে ও হুমড়ি খেয়ে পড়বে
হুমড়ি খেয়ে পড়বে কোন বিপদসংকুল খাঁদের গভীরে
শরীরের হাড়মাংস কিছু থাকবে না
আমার তো ভারি মায়া করতে লাগলো ওর জন্য

রোদ্যাঁর স্টুডিও


সময় পেরিয়ে যাচ্ছে 
রাস্তা 
আলাদা রাস্তার আলাদা অপেক্ষা
আরশোলাদের বাড়িতে ডেকোনা
বাড়িতে রয়েছে আরশোলা

চলো
রাস্তার ওদিকে
জেরিকোর ধ্রুবতারা  
শ্লেষরেণু 
আগাছার ফুল

পূর্বপুরুষেরা হয়তো দেখেছে
ঘাসের সবুজ অন্ধকার

হয়তো চিনতে পারছোনা

মহৎ এ-বাড়ি
এখন জ্বালাবো



ছোট গল্প
------------------

 
 

অতিথি

মাখনলাল প্রধান


আমার ঘর জানলা-দরজা বহুদিন বন্ধ। সবাই বলে অভিমানী। যেই মানি হোক আমি মনে মনে কী খুঁজি সেটা কেবল আমিই জানি। আমার নিজের হাতে গড়া সাম্রাজ্য কতখানি সে কেবল আমি জানি।
সাবেকলাল বলল - তোর মরচে পড়া গর্দান, ছ‍্যাতলা পড়া দাঁতপাটি, ধুমলানো গোঁফদাড়ি  খুলবি না সে জানি। একবার অন্তত আমায় দেখ।
বললাম - ছাড়, মিছে হাঙামা মাড়াতে চাই না। কথা বলে শক্তি খরচাতে  চাই না।
সাবেকলাল ছাড়ার পাত্র নয়। বলল - টকটক গন্ধ, তোর ঝাল ঝাল কথার হাওয়া একটু অন্তত খাওয়া।
-বাইরের কড়া রোদ-বৃষ্টির গায়ে পড়ে ঢলানি আর ধুলো ময়লার ছুঁচোনদারি আমি সহ্য করতে পারি না। যা আছি বেশ আছি।
আমার কথায় শেষ পর্যন্ত সাবেকলাল হাল ছাড়তে বাধ্য হয়।

একদিন হঠাৎ সেই দরজার কড়া নড়ে উঠল।  আশ্চর্য! কীভাবে খুলে ফেলব আমার এতদিনের সঞ্চয়। তবু ওকে যে আসতে দিতেই হবে। অতিথি নারায়ণ। শেষ পর্যন্ত গা বাঁচিয়ে পা তুলে হাত খুলে দিলাম তাকে ধরে। আর ঢুকতে কোনো বাধা নেই।  সীমানা লঙ্ঘনের দু:সাহস নিয়ে আমি দাঁড়িয়ে প্রান্তরে।
কিন্তু যার জন্য এত ডালপালা, শেকড়-বাকড় ছাঁটলাম, মাথায় পাতায় তুলে দিলাম নিজেকে, সে ঢুকল না। সেখান থেকে ফিরে গেল। আমি অবাক হয়ে গেলাম। কারণ বাইরে তখন ঝড় বইছে।
আমার জানলা, দরজা ভেঙে পড়ল।  ছাদ হয়ে গেল বিস্বাদ।  এতদিনের স্বাদ-আহ্লাদ। যাবার সময় সে একটা রুমাল ফেলে গেছে। ভাল করে খুলে দেখি তাতে লেখা আছে, যেদিন শুধু আমার জন্য তোমার দরজা খুলে দেবে সেদিন আসব।
দরজা আমি খুলেই দিয়েছি। সে আসে কিন্তু আমি তাকে ধরতে পারি না। ভাবছি আরও বড় করা যায় কিনা।


------------------ 

প্রমিতার ডায়েরি

মেনকা সামন্ত


যে বয়সে মনের অন্তলীন ভাবনাকে ভাষায় প্রকাশ করতে পেরেছিল তখন থেকে এই ডাইরি লেখা শুরু করেছিল প্রমিতা। একদিন তার ছোটকা অফিস থেকে স্পাইরেল বাইন্ডিং করা সুদৃশ্য একটা ডায়েরী তার হাতে তুলে দিয়ে বলেছিল -"কুহু,এটাতে তুই তোর মনের কথা লিখিস। "প্রমিতার গলা খুব মিষ্টি ছিল তাই তার কাকু তাকে 'কুহু' বলে ডাকতো। অনুকূল হাওয়া পেলে সে হয় গায়িকা নয় বাচিক শিল্পী অনায়াসেই হতে পারত। কিন্তু  ৯০% বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারের মা বাবার মতই গ্যাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর কুহুকে সরকারি অফিসের এক ক্লার্কের হাতে তুলে দিয়েছিল। বিয়ে দিয়ে তার মা বাবা তাকে নিশ্চিত নিরাপদ জীবন দিতে চেয়েছিল। তারপর প্রমিতা কলুর বলদ এর মতো ঘানি টেনে গেছে সংসারের। কখন যে চুপিসারে তার সেই ডাইরি নিরুদ্দেশের ঠিকানায় হারিয়ে গেছে, তা তার মনেও পড়েনি। আজ যখন অপরাহ্ণের আলোতে দাঁড়িয়ে,তখন তার সেই ডায়েরির কথা মনে পড়ল। বেডরুমের আলমারির মাথায় অনেক বই-কাগজপত্র জড়ো হয়েছিল। প্রমিতা সেগুলো ঘাটতে ঘাটতে পেয়ে গেল সেই ডাইরিটা। চোখ দুটো তার আনন্দে চকচক করে উঠলো। আচল দিয়ে উপরের জমে থাকা ময়লাটা মুছে ফেলল। কভার পেজটা উল্টেই হতবাক হয়ে গেল সে। কভার পেজটা সুন্দর থাকলেও ভেতরের সবকটা পাতা পোকায় কেটে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। পুরানো ছেড়া কাগজের টুকরো ঝুর ঝুর করে ঝরে পড়ল ঘরের মেঝেতে। প্রমিতা ধপাস করে বিছানার উপরে বসে পড়ল। তার মনে হল এক কালের ওই সাধের ডায়েরির সঙ্গে তার নিজের কি কোন ফারাক আছে?



কথাচিত্র
------------------



কালের বার্তালাপ

সুমিতা চৌধুরী


অতীত- কিরে বর্তমান, তোর বড়ো যে তাড়া,
নিজেতে নিজেই মত্ত, তুই হয়ে দিশেহারা! 

বর্তমান- সময় যে থামে না, সে যে বড়োই দামী, 
তাই তো তারই তালে তাল মেলাতে বাধ্য আমি।

অতীত- সময়ের খবর কি রাখি না আমিও?
সময়ের সারণিতে আমি একটু পিছিয়ে যদিও। 

বর্তমান- তাই তো তুমি অতীত, বিগত অধ্যায়,
 সময়ের তালে তাল রাখার আর আজ নেই তোমার দায়। 
আমিও যে থামলে পরে অতীতই হবো,
গতিবেগে হেরে গিয়ে তোমার স্থান নেবো।

অতীত- একদিন তো আসতেই হবে আমার স্থানেতে,
ভবিষ্যৎ জায়গা নেবে তোর আসন খানিতে। 
এমনই চক্রবৎ হয় পালাবদল,
একের শূন্য আসন অপরে নেয় দখল।

বর্তমান- জানি সবই, তবু কর্ম করে যাই,
কাজের মেয়াদ যতোটুকু পাই।
জানি এও, তোমার ভিতেই যে আমি গড়া,
তাই তো দৃষ্টান্ত রাখতে চাই নজরকাড়া।  
 তুমিও যে ছিলে একদিন আমরাই মতন,
তাই তো শ্রদ্ধায়, সবে করে তোমায় স্মরণ।।



অরাজনৈতিক ভ্রম
------------------------------------



ভ্রম

চিরঞ্জীব হালদার


'ভ' য়ের সাথে 'র' ফলা যুক্ত করে তার সাথে যদি 'ম 'কে   যোগ  দিয়ে 'র' কে  ডেকে আনেন তাহলে সবটাই দেখবেন এক অরাজনৈতিক পতঙ্গ। মন ভালো থাকলে আপনি ভ্রমরকে  না ডেকে ভ্রম কে ডাকতে পারেন। ঘনঘোর বর্ষায় এই ঘন কৃষ্ণ পতঙ্গ টি নির্বিবাদে আপনার ডাকে সাড়া দিলেও দিতে পারে। না দিলেও ক্ষতি নেই। দেখবেন কোনও না কোনও ভাবে আপনার কাছে ফিরে আসবে।আপনি যত রিমান্টিক তত অরাজনৈতিক। আপনি যত অরাজনৈতিক তত ভ্রমের চক্করে পড়তে পারেন। পড়াবেন বলছি কেন পড়বেনই।না চাইলেও দেখবেন এটি আপনার   চারপাশে ঘুরঘুর করবেই। তাড়াতে চেষ্টা করেছেন কি নির্ঘাত ফাসবেন। ভাপা প্রেমকে নিয়ে অনেকে তার মত খেলা শুরু করবে। ভ্রম অরাজনৌতিক হলেও  রাজনীতির বাইরে নয়। কার ইচ্ছে কখন ভ্রম ভ্রমর হয়ে ওঠে কে বলতে পারে।কে কখন গুড়ো পুরুষ হয়ে ওঠে কে বলতে পারে। কৌটিল্য স্যার বলে একজন আছেন। দ্বিধা থর থর তার দ্বারস্ত হতে পারি।ভ্রম জনিত সফলটা পেতে বিভিন্ন ধরনের গুপ্ত নিয়োগের বিশ্বাসী ছিলেন। তবে তা স্বার্থসম্মত। প্রেম সম্মত। ভ্রম থেকে যার উৎপত্তি।
আপনি অরাজনৈতিক অর্থবান কিন্তু ভ্রম হেতু আপনি  অধুনা দরিদ্র হয়ে পড়েছেন। কৌটিল্য স্যার আপনাকে দিশা দেখাতে পারেন। তেনার বৈদেহক নামক এক গুপ্তচর আছেন। তিনি তার নিয়োগ দিতে বলেছেন। কি কান্ড দেখ না দেখ অরাজনীতির ভেতর শুরুত করে রজনীতি ঢুকে পড়বে। এই মৌতাতের চক্করে টাল খেতে খেতে নিঘাত কোন দাদার খপ্পরে পড়বেন। তবে শান্তশিষ্ট গোবেচারার ভূমিকার দক্ষ অভিনেতা  না হলে ফেঁসে যাবেন। সে এক কেলো। যদি কোন  প্রতিভাবান ও প্রভাবশালী নেতা বা দিদির বোন আপনাকেই পটাতে আদজল খেয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। এমন প্রেমনীতি তে আপনি কখন নাম ভূমিকায় নেমে পড়েছেন টেরই পাবেন না। ভিতরে এক ভাগীরথির প্রবাহ টের পাবেন।

সেদিন নজর এলো  জুতোর সেলফে এক বিরল প্রজাতির জুতো অনেক দিন হল অলস পড়ে আছে।বিশেষ কয়েকটা স্থানে  অতিরিক্ত যত্নের কারনে পরা যাচ্ছিল না। যখনি এই জুতো জোড়া পায়ে গলিয়েছি কোনো না কোনো ভ্রমের চক্করে পড়ে যেতাম। তার কোন আগাম অভাস থাকত না। বেশ দিব্বি ফটর ফটর করে পায়ে গলিয়ে দুঃসম্পর্কের বান্ধবীর দিদির ছেলের মুখে ভাতে যেতে হয়। কিন্তু ওখানে যাওয়ার পর যেটা হল গিয়ে পায়ের জুতো ঠিক কোথায় কখন খুলে রেখেছি মনেও নেই।তাকে কি আদৌ ফিরে পাবো কিনা এই দোলাচলে বুক কম্পমান। ঘরে ফিরলে আর একজন আইশ বটি নিয়ে খাড়া থাকবে। কেমন যেন এক অনিশ্চিৎ  হারানোর মানবেদনা আমাকে সব কিছু থেকে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিলো। একটা মেয়ের সাথে ভাবটা যখন মাখো মাখো ঘন হতে শুরু করেছে তখন ওটা যদি ঐ খানে ঠিক মত ফিরে না পাই  এমন বেরসিক   ভাবখান আমার ভিতর থেকে চাগাড় দিয়ে উঠলো। আমি টয়লেট যাবার নাম করে ওটা যেখানে রাখা ছিল সেখানে এক চক্কর দিয়ে এলাম। এমন অসময় ভ্রমের কারনে পড়ে পাওয়া চোদ্দআনা আল্টপকা প্রেমটা চটকে গেলো। অপ্রপক্ষ নিঘাত আমাকে উজবুক ভেবে নেবে। এখন মাথা ঠুকে শপথ নিতে হবে এমন অরাজনৈতিক ভ্রমধর্মের খপ্পরে না পড়া। যেখানে এক ভ্রম হাজার ভ্রমের সুতিকা গৃহ। এমন বহুমুখী ক্রাইসিস এক সময় তার নিরপেক্ষতা হারিয়ে অন্য এক ঘলা  আবর্তে ঢুকে পড়বে। আপনি অসহায়।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Kobitar Alo March Sankhya 2025

   প্রচ্ছদ ঋণঃ-  পিনাকী রায় (কণিষ্ক)