শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪

গল্পাণু

জ্বলন্ত সত্য 

কেয়া নন্দী 




মায়ের পছন্দ করা পাত্রী পাপিয়া’র সঙ্গে নিভৃতসাক্ষাতে চলেছে পলাশ। গন্তব্য ‘আদি সপ্তগ্রাম’ -- ওখানের-ই হাইস্কুলের শিক্ষিকা।

মাঝে মধ্যে কেনার সুবাদে হকার সমীরের সঙ্গে আলাপ আছে। নির্দিষ্ট স্টেশনে নেমে পলাশ বলে, সমীর ‘আদি সপ্তগ্রাম হাই স্কুল’ টা কোথায় ?

স্কুল থেকে ছেলেটাকে নিয়ে আপনাকে দেখিয়ে দিচ্ছি। অগত্যা ঐ স্কুলে যেতে হলো।

শিখা না ? এই স্কুলে পড়াস ?

হ্যাঁ, এম.এ. পাশ করার পর টেট উত্তীর্ণ হয়ে এই প্রাইমারি স্কুলে।

তুই ? পলাশ বলে, বর্ধমানের একটি কলেজে পড়াই।

শিখার মুখেহাসি। পলাশ একটু থমকে যায়। ঐ হাসিতে কি কিছু ইঙ্গিত ছিল ! ওকি জানে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সত্য’ স্যারের কাছে পি.এইচ.ডি করছি !

চলুন স্যার।

আসি রে। পলাশকে যেতে দেখে শিখা’র চোখটা হঠাৎ-ই করকর করতে লাগলো।

পথে যেতে যেতে পলাশেরও স্মৃতির ‘শিখা’ জ্বলে উঠলো ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

  প্রচ্ছদ ঋণঃ-  অদিতি সেনগুপ্ত